সব ধরণের চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি ক্যাবের মানববন্ধন

139
  |  শনিবার, জুন ৬, ২০২০ |  ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
       

চিকিৎসা সেবা নাগরিকের মৌলিক অধিকার কারো দয়া নয়। পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে রোগীদের বাঁচার হাহাকার। এই হাহাকার শুধু মাত্র জীবন বাঁচানোর, চিকিৎসা সেবা পাবার অধিকারের হাহাকার। চট্টগ্রাম দেশের বানিজ্যিক রাজধানী ও দেশের বৃহত্তম শিল্প ও বানিজ্যিক নগরী হলেও সরকারী-বেসরকারী কোন চিকিৎসা সেবা গড়ে উঠেনি। ফলে করোনা মহামারী কালে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত আইসিইউ সুবিধা নেই, অক্সিজেন নাই ও সীট নাই। বৃহস্পতিবার(৪জুন) নগরীর জামালখান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামে করোনা প্রতিরোধে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে চট্টগ্রামে সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সব ধরণের চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে আয়োজিত মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা উপরোক্ত দাবি জানান।

ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সভাপতিত্বে ও ক্যাব ডিপিও জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য মুহাম্মদ মহরম হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের সহ-সভাপতি হাজী আবু তাহের, চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা আওয়ামীলীগ নেতা হাসান মনসুর, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ, চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, যুব নেতা ইমতিয়াজ মোর্শেদ খান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি, সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর, ক্যাব সদর ঘাট থানা সভাপতি শাহীন চেীধুরী, চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, জাউদ আলী চৌধুরী, ক্যাব জামাল খান ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নারী নেত্রী নবুয়াত আরা সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল চৌধুরী প্রমুখ।

মানব বন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন বক্তাগন অভিযোগ করে বলেন বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা না পাবার মূল কারণ তাঁরা একদিকে সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক আবার অন্যদিকে বেসরকারী ক্লিনিকের মালিক। কিছু চিকিৎসকদের দুধরণের ভুমিকার কারনে মানুষ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা পায় না আর বেসরকারী ক্লিনিকে গিয়েও জিম্মি। সরকার সরকারী-বেসরকারি সকল হাসপাতালে সকল রোগীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেন। কিন্তু চট্টগ্রামের কিছু বেসরকারী ক্লিনিকের মালিক ও কতিপয় বিএমএ নেতারা যোগসাজসে প্রশাসনকে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করে কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট প্রদর্শন, করোনা সেবা দিলে সাধারন রোগীদের অসুবিধা হবে ইত্যাদি অযুহাতে কোন রোগী ভর্তি না করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।

বক্তাগন অনতিবিলম্বে করোনা ও সাধারন রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিতে বেসরকারী ক্লিনিকগুলিকে আগামি ১ সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন, ভোগান্তি নিরসন কমিটিকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করে তার ফলাফল নগরবাসীকে দৈনিক অবহিতকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত সকল পক্ষের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহনমলক জনঅংশগ্রহনমুলক স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়ন করার দাবী জানান।