বৈশ্বিক মহামারীতেও মিরসরাই হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্যানেল মেয়র রাজুর থেমে নেই চিকিৎসা সেবা; থামিয়ে দিতে চলছে অপপ্রচার

1397
 নিউজ ডেস্ক |  বৃহস্পতিবার, জুন ৪, ২০২০ |  ২:২১ অপরাহ্ণ
ঢাকা-চট্চট চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মিরসরাই পৌরসভাধীন পশুহাসপাতালের পাশেই হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের মূলফটক। ইনসেটে হাসপাতালের পরিচালক প্যানেল মেয়র রাজু।
       
বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে রোগীদের চিকিৎসা প্রদাণের লক্ষে হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের এম ডি খালেদা আক্তার ও পরিচালক শাখের ইসলাম রাজু চিকিৎসক,নার্স ও স্টাফদের মোটিভেশন করছেন।

বৈশ্বিক মহামারী করোনায় থেমে নেই মিরসরাই হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক মিরসরাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাখের ইসলাম রাজুর চিকিৎসা সেবা। তার এই মানবসেবা থামিয়ে দিতে চলছে অপপ্রচার। একজন প্যানেল মেয়র হয়েও এক প্রকার নিরবেই চিকিৎসা সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। তার এ আলোকবর্তিকা আরোও ছড়িয়ে দিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মিরসরাই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা আসে সমর্থকদের কাছ থেকে। এই ঘোষণাই এখন কাল হয়েছে তার। সম্প্রতি একটি চক্র তাদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্ধারে পরিকল্পিতভাবে নানান অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

শাখের ইসলাম রাজু মিরসরাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরপর দু’বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও পৌরসভার নির্বাচিত প্যানেল মেয়র এবং মিরসরাই হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের একজন ডাইরেক্টর।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা মিরসরাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাখের ইসলাম রাজুর পক্ষে আগামী সেপ্টেম্বর ২০২০  মিরসরাই পৌরসভা নির্বাচনে তার সমর্থনকারীদের পক্ষ থেকে মেয়র নির্বাচন করার ঘোষণা আসে। এর   পর থেকেই একটি স্বার্থেন্মেষী মহল নানান অপপ্রচার করে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, শাখের ইসলাম রাজুর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল  তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে নানান অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তিনি দীর্ঘসময় মিরসরাই জনপদে জনগনের পাশে থেকে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি মিরসরাই পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দু’বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। দীর্ঘদিন তাঁর কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালনকালে তিনি এখন  সততা ও  ন্যায়ের প্রতীক হয়ে উঠেছেন পৌরবাসীর কাছে ।

সীতাকুণ্ড সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায়হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের এম ডি খালেদা আক্তার (বামে) ও পরিচালক প্যানেল মেয়র রাজু (ডানে)।

স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্যানেল মেয়র রাজুর রযেছে সু সম্পর্ক। মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড এলাকার সাংবাদিকদের কাছে একজন সাংবাদিকবান্ধব মানুষ হিসেবেই পরিচিত।
রাজনৈতিক – সামাজিক ও  ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সাংবাদিকরাই প্যানেল মেয়র শাখের ইসলাম রাজু অনুপ্রেরণা।

স্থারনীয় গ্রামবাসীদের অভিমত তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারকারীকে কখনোও প্রশ্রয় দেননি।  এলাকার সাধারণ মানুষের কেউ কোন ক্ষতি করতে চাইলে তিনি সবার আগে রুখে দাড়াতেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এলাকার মানুষের সুখেদুঃখে জনগণের পাশে থাকাই এখন কাল হয়ে দাড়িয়েছে। সর্বশেষ মিরসরাই পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করায় তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে একটি কুচক্রী মহল।

নিরবে স্বাস্থ্যসেবায় আলো ছড়াচ্ছেন প্যানেল মেয়র শাখের ইসলাম রাজু। বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে তার পরিচালনাধিন হাসপাতাল একদিনের জন্যও বন্ধ রাখেনি। বরংচ শিশু ও প্রসূতি মায়ের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক,নার্স ও স্টাফদের সবসময় উৎসাহ দিয়ে আসছেন।

তার সেবাকার্যক্রম এখানেই থেমে নেই। তিনি মিরসরাই পূর্ব আমবাড়িয়া জামে মসজিদের সভাপতি ও উত্তর আমবাড়িয়া জামে মসজিদের উপদেষ্টা এবং উত্তর আমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সন্মানিত সদস্য, মিরসরাই উপজেলার সিএনজি চাল ও মালিক সমিতির সন্মানিত উপদেষ্টা, এবং মানবাধিকার সংগঠন সহ সমাজের বিভিন্ন  জনহিতকর কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন।

ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মিরসরাই পৌরসভাধীন পশুহাসপাতালের পাশেই হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের মূলফটক। ইনসেটে হাসপাতালের পরিচালক প্যানেল মেয়র রাজু।

অপপ্রচারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গত ২২ মে “শুভ চট্টগ্রাম” নামক একটি অনলাইনে মীরসরাই পৌর কাউন্সিলর রাজুর অপরাধ রাজ্য! শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রকাশিত সংবাদে মিরসরাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমি শাখের ইসলাম রাজুকে জড়িয়ে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ করা হয়েছে। যা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। উল্লেখিত প্রতিবেদনে প্রতিবেদক আমাকে জড়িয়ে মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কে এবং মিরসরাই এলাকায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি, ইয়াবাসহ নানা রকম মাদক পাচার, সংরক্ষিত বনের কাঠ পাচার, অস্ত্র পাচার, বালু পাচার, পাহাড় কাটাসহ এমন কোন কাজ নেই তিনি জড়িত নন মর্মে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ  এসবের কোন কিছুর সঙ্গে আমি জড়িত নই। । আমি কাউন্সিলরের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ঠিকাদারি ও ফার্নিচার ব্যবসার সাথে জড়িত এবং মিরসরাই হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের ডাইরেক্টর। আসন্ন মিরসরাই পৌরসভার নির্বাচনে আমি মেয়র প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি। তাই আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কেউ আমাকে ঘায়েল করার জন্য এবং আমি যাতে পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে না পারি সেজন্য একটি কুচক্রি মহল আমার মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে। তাই উক্ত প্রকাশিত সংবাদে আমি সামাজিক ও রাজনৈকিত ভাবে হেয় প্রতিপন্ন  ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমি বিগত দিনগুলোতে  বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির এবং মসজিদের দায়িত্ব পালন থেকে শুরু করে সামাজিক দায়িত্ব সুনামের সহিত পালন করে  সাধারন মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আজ আমি এ পর্যন্ত। বিগত দিন কারো কোন ক্ষতি করেছি  এমন কোন প্রমাণ কোন ব্যক্তি দিতে পারে তাহলে আমার এলাকার জনগন যে সাজা দেয় হাসি মুখে বরন করে নেব। আমি অন্যায় করিনা এবং কোন অন্যায়কারীকে কখনো সহযোগিতাও করিনা এটাই আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট। এহেন সংবাদে কাউকে বিব্রত না হওয়ার জন্যও আমি অনুরোধ করছি। তাই উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে ধিক্কার জানাচ্ছি ঐ ধরনের লোকদের যারা মানুষের তিলতিল করে গড়া আত্মসম্মান এক নিমেষে ধ্বংস করে দিতে চায়। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে এসব দুষ্ট চক্রের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া দরকার।