চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সরকার ঘোষিত লকডাউন মানছেন না কতিপয় ব্যবসায়ী। বেশিরভাগ মালিক করোনা ঠেকাতে লকডাউনে দোকান বন্ধ রেখে ক্ষতি মেনে নিলেও কয়েকজন ব্যবসায়ী ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশকে ধোকা দিয়ে দিনের অধিকাংশ সময়ই দোকান খোলা রাখছেন। এর ফলে অন্য ব্য্যবসায়ীরাও দোকান খোলার পাঁয়তারা করছেন।
তবে এসবের অভিযোগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে অভিযান চালিয়ে একটি রড-সিমেন্টের দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে মৌখিক সতর্ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করে মাইকিং করেছেন থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকার ৫ এপ্রিল ভোর থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করায় সীতাকুণ্ডে প্রতিটি বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী সে সিদ্ধান্ত মেনে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু প্রত্যেকটি বাজারের কিছু ব্যবসায়ী প্রশাসনকে অনেকটা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খুলে রাখছেন দোকানপাট। এতে ব্যবসায়ী মহলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশংকায় সোমবার বিকাল ৫টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিল্টন রায়। তিনি সীতাকুণ্ড পৌরসভা সংলগ্ন মোঃ সেলিম উদ্দিনের মালিকানাধীন তাকিয়া-দিয়া ট্রেডার্স নামক রড-সিমেন্টের দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া অভিযানকালে মাস্ক বিহীন থাকা, সামাজিক দুরত্ব না মানা, সরকারী জায়গার ফুটপাতে অবৈধ দোকান বসানোসহ বিভিন্ন অনিয়মকারীকে সতর্ক করা হয়। মাস্ক ছাড়া চলাচলকারীদের মাস্ক প্রদান করা হয়।
একই সময়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পক্ষ থেকেও মাইকিং করে লকডাউনের নিয়ম মেনে চলার জন্য ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ, সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম, ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরী, সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, পৌরসদর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন প্রমুখ।