তৃণমূল উন্নয়ন সিঁড়ির প্রথম ধাপ সাংবাদিকের লেখনি- এমপি দিদার

160
  |  বৃহস্পতিবার, মার্চ ৪, ২০২১ |  ৬:৫১ অপরাহ্ণ
পুরস্কার গ্রহণ করছেন এম সেকান্দর হোসাইন
       

সাংবাদিকের ক্ষুরধার লেখনিতে তৃণমূলের উন্নয়ন দ্রুত করতে পারি। যখনই কোন এলাকার সুস্পষ্ট সমস্যা ও সমাধানের পথ দেখিয়ে সংবাদ ছাপানো হয় তাৎক্ষনিকভাবে আমি তা সমাধানের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি। এই চর্চা আমার পরিবারের দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য। আমি মনে করি তৃণমূলের উন্নয়নের কোন সিড়ির প্রথম ধাপ সাংবাদিকের লেখনি।

পুরস্কার গ্রহণ করছেন সৌমিত্র চক্রবর্তী

৩ মার্চ ইপসা-সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাংবাদিকতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

পুরস্কার গ্রহণ করছেন লিটন চৌধুরী

এর আগে ২০১৯ সালে এনজিও সংস্থা ইপসার পৃষ্ঠপোষকতায় ইপসা ও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের যৌথ ব্যবস্থাপনায় তিনটি ক্যাটাগরিতে সীতাকুণ্ডে কর্মরত জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে নিজ নিজ পত্রিকায় ছাপানো সেরা প্রতিবেদন আহবান করা হয়।

একই ক্যাটাগরিতে যৌথ পুরস্কার গ্রহণ করছেন কৃঞ্চ চন্দ্র দাস ও এম সেকান্দর হোসাইন

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোট ১৫জন সাংবাদিক তাদের নিজ পত্রিকায় ছাপানো সেরা প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর চারজনের একটি বিচারকবোর্ড প্রতিবেদনগুলো যাচায়-বাচায় করে তিন ক্যাটাগরিতে চারজনকে মনোনীত করেন।
পরিবেশ বিষয়ক ক্যাটাগড়িতে যৌথভাবে পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ও সমকালের প্রতিনিধি এম সেকান্দর হোসাইন, উন্নয়ন বিষয়ক ক্যাটাগড়িতে আজাদী প্রতিনিধি লিটন চৌধুরী ও সৃজনশীল প্রতিবেদন ক্যাটাগরিতে পূর্বকোন প্রতিনিধি সৌমিত্র চক্রবর্তী।

বক্তব্য রাখছেন ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং ফোকাল পার্সন (এডভোকেসী) মোহাম্মদ আলী শাহীন

এম সেকান্দর হোসাইন অনুভুক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, পুরস্কার যাই হোক তা গর্বের। উপজেলা ভিত্তিক সাংবাদিকতার পুরস্কার সীতাকুণ্ডে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় ইপসার প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমানের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রতিযোগীতার ঘোষণার পর সাংবাদিকেরা আরও উজ্জিবিত হয়েছে। তারা নিয়মিত লেখার চেষ্টা করে চলেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দক্ষ সাংবাদিক গড়ে উঠবে।

বক্তব্য রাখছেন সীতাকুণ্ড সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম

ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরী বলেন, ২০২০ সালে এ পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারি শুরু হয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এ ধরনের প্রতিযোগীতা উপজেলা ভিত্তিক দেশের প্রথম। আশা করছেন অন্যান্য উপজেলায়ও এ ধরনের প্রতিযোগীতা শুরু হবে।  তখন দক্ষ সাংবাদিকের সৃষ্টি হবে।

ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরী।

আরোও উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, সীতাকুণ্ড সহকারি কমিশনার ভূমি রাশেদুল ইসলাম, এটিএন বাংলার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসনাত, একুশে টিভির বিশেষ প্রতিবেদক হাসান ফেরদৌস, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম ফোরকান আবু, সাবেক সভাপতি এম হেদায়েত,  ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং ফোকাল পার্সন (এডভোকেসী) মোহাম্মদ আলী শাহীন।